এবার বন্ধ হচ্ছে প্রাইমারী কোচিং এবার প্রাইমারী কোচিং বন্ধে মাঠে নামছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা টাস্ক ফোর্স।এনএমটি। ভাল স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি ও সমাপনীতে ভাল ফলাফল করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে যশোরাঞ্চলে গড়ে তোলা ডজন তিনেক প্রাইমারী কোচিং সেন্টার টার্গেট করে কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। সরকারি ছুটির দিনে সাপ্তাহিক পরীক্ষা নেয়া, এমনকি জাতীয় দিবসগুলোতেও কোচিং সেন্টার খুলে রেখে কোমলমতি শিশুদের বিনোদন সুবিধা বঞ্চিত করছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খোদ কতিপয় প্রধান শিক্ষক নীতিনৈতিকতা ও বিধি ভূলুণ্ঠিত করে শ’শ’ ছাত্র নিয়ে প্রাইমারী কোচিং করে যাচ্ছেন।
চাকরির আচরণ বিধিতে টাকা নিয়ে প্রাথমিক স্তরের কোন ছাত্র পড়ানো যাবে না পরিস্কার উল্লেখ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। কোন কোন শিক্ষক কাড়ি কাড়ি টাকা হাতানোয় নিজে সংশ্লিষ্ট থাকলেও অন্য কারো নাম বসিয়ে দিয়ে কোচিং চালাচ্ছেন। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নানা প্রলোভন ও নিশ্চয়তা দিয়ে চলছে কোচিং। বিষয়টি ঝড়ে কলাগাছ ভাঙার মত বলেও তথ্য এসেছে।
যশোরের কয়েকটি ভাল স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে চান্স ও সমাপনীতে ভাল ফলাফলের নিশ্চিয়তা দিয়ে শহর ও শহরতলীতে গড়ে তোলা হয়েছে ডজন তিনেক কোচিং সেন্টার। সমাপনীর পরীক্ষক পরিচয় দেয়া এবং বিশাল অভিজ্ঞ শিক্ষক হিসেবে হ্যান্ডবিল ছাড়া সরকারি প্রাইমারী বা অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষক ভোলপাল্টে অপ্রতিরোধ্য এই কোচিং বাণিজ্য করছেন। নেপথ্যে নিজের নাম ব্যবহার করে, আর প্রকাশ্যে অন্য কাউকে পরিচালক সাজিয়ে এ ব্যবসা চালানো হচ্ছে। অনেক কোচিংয়ে নামকাওয়াস্তে বেতন দিয়ে অনভিজ্ঞ শিক্ষক দিয়ে কোচিং করানো হচ্ছে। কোন কোচিং থেকে একশ’ ছাত্রের মধ্যে ৫/৭ জন চান্স পেলে তারা চাউর করছে বিশাল এচিভমেন্ট। বিষয়টি ‘ঝড়ে কলা গাছ ভাঙা, আর ফকিরের কেরামতি বাড়ার’ মত।
একশ’ ছাত্রের মধ্যে এমনিতেই ৫/৭ জন চান্স পাবে এটাই স্বাভাবিক। এতে মূলতঃ কোন কোচিং সেন্টারের কৃতিত্ব নেই বলে অনেক ভাল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অভিমত। তাদের বক্তব্য, গত বছরে ভাল কয়েকটি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি জরীপ ও সমাপনীর ফলাফলে দেখা গেছে কোচিং করেনি এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরাও ভাল করেছে। অথচ দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি, আবার কোন কোন কোচিংয়ে ওয়ানও পড়ানো হচ্ছে। প্রপাগান্ডা ও প্রলোভনে পড়ে অনেকটা বাধ্য হয়ে শিশুদের কোচিংয়ে পাঠাচ্ছেন অনেক অভিভাবক।
মিথ্যা, প্রতারণা আর ভুলে ভরা প্রচারপত্র নিয়েও নামে-বেনামে রয়েছে কয়েকটি সমাপনী কোচিং সেন্টার। অপ্রতিরোধ্য স্টাইলে এ কোচিংয়ের লোকজন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এমনকি বাসাবাড়িতে ধর্না দেয় ছাত্রের খোঁজে। শিক্ষা নীতিমালার বালাই না মেনে ওপেন সিক্রেটভাবে চলছে তাদের অনৈতিকতা। সফলতার মিথ্যার বেসাতি সাজিয়ে প্রচারপত্র বাজারে ছেড়ে ধোকাবাজি ও ছাত্র ফুঁসলানোর কাজে পালের গোদা হিসেবে কাজ করছেন চিহ্নিত অনেকে। নির্লজ্জ অর্থ বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে গড়ে তোলা চিহ্নিত অনেক কোচিং সেন্টার শুক্রবারসহ জাতীয় দিবসগুলোতে খোলা রেখে শিক্ষার্থীর উপর মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। অর্থলিপ্সু বিতর্কিত ওই সব প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসেও খোলা রাখার ধৃষ্টতা দেখায়।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, যশোরে বাড়িতে বাড়িতে, আবার বিল্ডিং ভাড়া নিয়ে, কেউ স্কুল কলেজের কক্ষে কোচিং খুলে বসেছেন। শিক্ষার্থীর মেধা উন্নয়নের নামে সেখানে চালানো হচ্ছে মানসিক নির্যাতন। স্বাধীনতা দিবস, বঙ্গবন্ধুর জন্ম মৃত্যু দিবস, বাংলা নববর্ষ, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, পহেলা বৈশাখ, এমনকি মহান বিজয় দিবসেও তারা খোলা রাখছে। যে কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চিত্ত বিনোদনের সুযোগ পাচ্ছে না। যশোরের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠিত স্কুলের বিতর্কিত শিক্ষক ও সরকারি প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক কোচিং খুলে বাণিজ্য শুরু করেছেন। যাতে তারা নীতিমালা ভূলুন্ঠিত করে চলেছেন। একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করেছেন, মেধা উন্নয়নের নামে তাদের শিশুদের জিম্মি করা হচ্ছে। তাদের অনেকে জানান, শুধু পড়াশুনাই মানসিক বিকাশের একমাত্র পথ নয়, কোমলমতি শিশুদের মেধা বিকাশের জন্য তাদের খেলধুলা, ভ্রমন, গান, নাটক, আবৃত্তি, নৃত্য ও ছবি আঁকাসহ আনুসঙ্গিক নানা বিষয়সহ শিক্ষা কার্যক্রম রয়েছে। কিন্তু যশোরে প্রাইমারী কোচিং বাণিজ্য এতটাই নির্লজ্জতায় পৌঁছেছে যে বিজয় দিবস, শহীদ দিবস ও জাতির জনকের জন্ম মৃত্যুর দিনও কোচিং খোলা রাখা হচ্ছে। যশোরে যত্রতত্র গড়ে ওঠা কয়েক ডজন কোচিংয়ে চলছে এসব অনাচার। এর জরুরী প্রতিকার দাবি করে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হলে নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। বিষয়টি দেখভাল করতে কমিটিও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা অফিসার তাপস কুমার অধিকারী।
তিনি গ্রামের কাগজকে জানান, অনেককে সতর্ক করা হয়েছে। এরপরও অনেকেই সরকারি নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অনেকে প্রাইমারী কোচিং সেন্টার খুলে গলাকাটা অর্থবাণিজ্যে লিপ্ত রয়েছেন বলেও তথ্য রয়েছে। নিজে আড়ালে থেকে নিকট আত্মীয়কে কোচিং সেন্টারের পরিচালক বা মালিক সাজিয়ে ছলচাতুরির আশ্রয় নেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে দ্রুতই অভিযানে নামা হবে। এর জন্য নতুন করে কোন বিধি বা নীতিমালার প্রয়োজন নেই। কেননা শিক্ষক চাকরি বিধিতে ও আচরণে পরিস্কার উল্লেখ আছে, প্রাথমিক স্তরের কোন ছাত্রের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে পড়ানো যাবে না। অথচ অনেক শিক্ষক করছেন তার উল্টো। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঘোষিত নীতিমালার আলোকে প্রাইমারী কোচিংবাজ শিক্ষকদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
চাকরির আচরণ বিধিতে টাকা নিয়ে প্রাথমিক স্তরের কোন ছাত্র পড়ানো যাবে না পরিস্কার উল্লেখ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। কোন কোন শিক্ষক কাড়ি কাড়ি টাকা হাতানোয় নিজে সংশ্লিষ্ট থাকলেও অন্য কারো নাম বসিয়ে দিয়ে কোচিং চালাচ্ছেন। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নানা প্রলোভন ও নিশ্চয়তা দিয়ে চলছে কোচিং। বিষয়টি ঝড়ে কলাগাছ ভাঙার মত বলেও তথ্য এসেছে।
যশোরের কয়েকটি ভাল স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে চান্স ও সমাপনীতে ভাল ফলাফলের নিশ্চিয়তা দিয়ে শহর ও শহরতলীতে গড়ে তোলা হয়েছে ডজন তিনেক কোচিং সেন্টার। সমাপনীর পরীক্ষক পরিচয় দেয়া এবং বিশাল অভিজ্ঞ শিক্ষক হিসেবে হ্যান্ডবিল ছাড়া সরকারি প্রাইমারী বা অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষক ভোলপাল্টে অপ্রতিরোধ্য এই কোচিং বাণিজ্য করছেন। নেপথ্যে নিজের নাম ব্যবহার করে, আর প্রকাশ্যে অন্য কাউকে পরিচালক সাজিয়ে এ ব্যবসা চালানো হচ্ছে। অনেক কোচিংয়ে নামকাওয়াস্তে বেতন দিয়ে অনভিজ্ঞ শিক্ষক দিয়ে কোচিং করানো হচ্ছে। কোন কোচিং থেকে একশ’ ছাত্রের মধ্যে ৫/৭ জন চান্স পেলে তারা চাউর করছে বিশাল এচিভমেন্ট। বিষয়টি ‘ঝড়ে কলা গাছ ভাঙা, আর ফকিরের কেরামতি বাড়ার’ মত।
একশ’ ছাত্রের মধ্যে এমনিতেই ৫/৭ জন চান্স পাবে এটাই স্বাভাবিক। এতে মূলতঃ কোন কোচিং সেন্টারের কৃতিত্ব নেই বলে অনেক ভাল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অভিমত। তাদের বক্তব্য, গত বছরে ভাল কয়েকটি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি জরীপ ও সমাপনীর ফলাফলে দেখা গেছে কোচিং করেনি এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরাও ভাল করেছে। অথচ দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি, আবার কোন কোন কোচিংয়ে ওয়ানও পড়ানো হচ্ছে। প্রপাগান্ডা ও প্রলোভনে পড়ে অনেকটা বাধ্য হয়ে শিশুদের কোচিংয়ে পাঠাচ্ছেন অনেক অভিভাবক।
মিথ্যা, প্রতারণা আর ভুলে ভরা প্রচারপত্র নিয়েও নামে-বেনামে রয়েছে কয়েকটি সমাপনী কোচিং সেন্টার। অপ্রতিরোধ্য স্টাইলে এ কোচিংয়ের লোকজন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এমনকি বাসাবাড়িতে ধর্না দেয় ছাত্রের খোঁজে। শিক্ষা নীতিমালার বালাই না মেনে ওপেন সিক্রেটভাবে চলছে তাদের অনৈতিকতা। সফলতার মিথ্যার বেসাতি সাজিয়ে প্রচারপত্র বাজারে ছেড়ে ধোকাবাজি ও ছাত্র ফুঁসলানোর কাজে পালের গোদা হিসেবে কাজ করছেন চিহ্নিত অনেকে। নির্লজ্জ অর্থ বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে গড়ে তোলা চিহ্নিত অনেক কোচিং সেন্টার শুক্রবারসহ জাতীয় দিবসগুলোতে খোলা রেখে শিক্ষার্থীর উপর মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। অর্থলিপ্সু বিতর্কিত ওই সব প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসেও খোলা রাখার ধৃষ্টতা দেখায়।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, যশোরে বাড়িতে বাড়িতে, আবার বিল্ডিং ভাড়া নিয়ে, কেউ স্কুল কলেজের কক্ষে কোচিং খুলে বসেছেন। শিক্ষার্থীর মেধা উন্নয়নের নামে সেখানে চালানো হচ্ছে মানসিক নির্যাতন। স্বাধীনতা দিবস, বঙ্গবন্ধুর জন্ম মৃত্যু দিবস, বাংলা নববর্ষ, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, পহেলা বৈশাখ, এমনকি মহান বিজয় দিবসেও তারা খোলা রাখছে। যে কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চিত্ত বিনোদনের সুযোগ পাচ্ছে না। যশোরের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠিত স্কুলের বিতর্কিত শিক্ষক ও সরকারি প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক কোচিং খুলে বাণিজ্য শুরু করেছেন। যাতে তারা নীতিমালা ভূলুন্ঠিত করে চলেছেন। একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করেছেন, মেধা উন্নয়নের নামে তাদের শিশুদের জিম্মি করা হচ্ছে। তাদের অনেকে জানান, শুধু পড়াশুনাই মানসিক বিকাশের একমাত্র পথ নয়, কোমলমতি শিশুদের মেধা বিকাশের জন্য তাদের খেলধুলা, ভ্রমন, গান, নাটক, আবৃত্তি, নৃত্য ও ছবি আঁকাসহ আনুসঙ্গিক নানা বিষয়সহ শিক্ষা কার্যক্রম রয়েছে। কিন্তু যশোরে প্রাইমারী কোচিং বাণিজ্য এতটাই নির্লজ্জতায় পৌঁছেছে যে বিজয় দিবস, শহীদ দিবস ও জাতির জনকের জন্ম মৃত্যুর দিনও কোচিং খোলা রাখা হচ্ছে। যশোরে যত্রতত্র গড়ে ওঠা কয়েক ডজন কোচিংয়ে চলছে এসব অনাচার। এর জরুরী প্রতিকার দাবি করে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হলে নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। বিষয়টি দেখভাল করতে কমিটিও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা অফিসার তাপস কুমার অধিকারী।
তিনি গ্রামের কাগজকে জানান, অনেককে সতর্ক করা হয়েছে। এরপরও অনেকেই সরকারি নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অনেকে প্রাইমারী কোচিং সেন্টার খুলে গলাকাটা অর্থবাণিজ্যে লিপ্ত রয়েছেন বলেও তথ্য রয়েছে। নিজে আড়ালে থেকে নিকট আত্মীয়কে কোচিং সেন্টারের পরিচালক বা মালিক সাজিয়ে ছলচাতুরির আশ্রয় নেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে দ্রুতই অভিযানে নামা হবে। এর জন্য নতুন করে কোন বিধি বা নীতিমালার প্রয়োজন নেই। কেননা শিক্ষক চাকরি বিধিতে ও আচরণে পরিস্কার উল্লেখ আছে, প্রাথমিক স্তরের কোন ছাত্রের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে পড়ানো যাবে না। অথচ অনেক শিক্ষক করছেন তার উল্টো। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঘোষিত নীতিমালার আলোকে প্রাইমারী কোচিংবাজ শিক্ষকদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
No comments:
Post a Comment