বর্তমান বিএনপি নেতা একজন পরীক্ষিত আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য ছিলেন যার নাম ফজলুর রহমান একজন আইনজীবী।
কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ে পর্যন্ত বিএনপি'র নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে এ সকল আওয়ামী লীগ নেতা যখন বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে তখন বিএনপির ভিতর ন্যূনতম ঐক্যের যে সম্ভাবনা তার দেখা যায় না। তেমনি একজনকে নিয়ে আজকের এই তথ্য সমৃদ্ধ লেখা।
ফজলুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় কিশোরগঞ্জ জেলার মুজিব বাহিনীর প্রধান ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সেক্রেটারি ও সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সম্মিলিত বিরোধী দলের হয়ে তৎকালীন কিশোরগঞ্জ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কিশোরগঞ্জ-৩ আসন থেকে, ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে।
২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন।
তিনি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এর পর চারদলীয় জোট সরকারের শেষ দিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হয়েছেন তিনি। এই ফজলুর রহমানের মত নেতাদের কারণে মাটি ও মানুষের দল বিএনপি এর ভিতরে সর্বদাই আভ্যন্তরীণ কোন্দল লেগেই আছে, একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে পর্যন্ত। যার দরুন নিজ দলের ভিতরেই একাধিক উপাদল তৈরি করে, একে অপরকে সুযোগ পেলেই আঘাত করে হত্যা করে দলের ভাবমূর্তি প্রতিনিয়তই নষ্ট করে চলেছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব আওয়ামী মদনপুষ্ট এ সকল নেতাদের অচিরেই দল থেকে বহিষ্কার করে দলের সর্বাঙ্গীণ সংস্কার জরুরী।
No comments:
Post a Comment