জনগণের আকাঙ্ক্ষা এবং নেতৃত্বের প্রত্যাশা-
প্রতারণার পথ ছেড়ে, স্বচ্ছতার রাজনীতির সময় এখন
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝে বাংলাদেশের জনগণ তাদের নেতৃত্বের প্রতি সুনির্দিষ্ট প্রত্যাশা পোষণ করছে। দেশের আপামর জনসাধারণ এমন একজন নেতাকে চায় যিনি শুধু আর্থ-সামাজিক সমৃদ্ধিই নয়, বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করতে সক্ষম। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের মতো বিশ্বব্যাপী পরিচিত এবং ধনে-জ্ঞানে সমৃদ্ধ ব্যক্তিত্বের প্রতি জনগণের একটি অংশের মধ্যে গভীর আস্থা দেখা যাচ্ছে। তাদের মতে, ইউনুসের মতো একজন নেতা বাংলাদেশের সম্মানকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেন এবং তার অনুপস্থিতিতে কোনো রাজনৈতিক দল বা সামরিক শক্তিকে বাংলার মসনদে মেনে নিতে তারা নারাজ।
ক্ষমতা এবং দালালির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান-
বাংলাদেশের জনগণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ক্ষমতা-কেন্দ্রিক রাজনীতি এবং বিদেশী প্রভাবকে কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। তারা মনে করে, যারা দেশের স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তিগত বা বিদেশী এজেন্ডাকে প্রাধান্য দেয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জনগণ দ্বিধা করবে না। "সময় থাকতেই ভালো হোন, দালালি ছাড়ুন দেশের স্বার্থে নিজেকে গড়ুন" - এমন স্লোগানগুলি এই মনোভাবেরই প্রতিফলন। এই স্লোগানগুলি ইঙ্গিত দেয় যে, জনগণ দুর্নীতি এবং দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করা যেকোনো পক্ষকে উৎখাত করতে প্রস্তুত। এটি দেশের সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের আত্মমর্যাদার প্রতি তাদের অঙ্গীকারের প্রকাশ।
গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার প্রতি জনগণের দৃঢ় সংকল্প-
বাংলাদেশের জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে আপস করতে প্রস্তুত নয়। তারা মনে করে, যারা দেশের উন্নতিতে বাধা সৃষ্টি করবে বা বিদেশী শক্তির দালালি করবে, তাদের সমূলে বিনাশ করতে জনগণ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। অধ্যাপক ইউনুসের প্রতি যেকোনো নেতিবাচক মন্তব্যকে তারা দেশের অগ্রগতির পথে বাধা হিসেবে দেখছে। এই মনোভাব দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক দিকনির্দেশনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এবং এটি দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জনগণের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত।
No comments:
Post a Comment