কোভিড-১৯ যা করোনা ভাইরাস
নামে পরিচিত - সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমের শিরোনামে
প্রাধান্য বিস্তার করেছে। এশিয়ার
বিভিন্ন অংশ এবং এর
বাইরেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে
এই ভাইরাস। সাধারণ
সতর্কতা অবলম্বন করে আপনি এই
ভাইরাসটির সংক্রমণ ও বিস্তারের ঝুঁকি
কমিয়ে আনতে
কেমন ভয়াবহ এই ভাইরাস?
শ্বাসতন্ত্রের
অন্যান্য অসুস্থতার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সর্দি, কাশি, গলা
ব্যথা এবং জ্বরসহ হালকা
লক্ষণ দেখা দিতে পারে
। কিছু মানুষের
জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ
মারাত্মক হতে পারে।
এর ফলে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট
এবং অর্গান বিপর্যয়ের মতো
ঘটনাও ঘটতে পারে।
তবে খুব কম ক্ষেত্রেই
এই রোগ মারাত্মক হয়। এই
ভাইরাস সংক্রমণের ফলে বয়স্ক ও
আগে থেকে অসুস্থ ব্যক্তিদের
মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি
বেশি।
করোনা
ভাইরাসসহ অন্যান্য রোগের বিস্তার সীমিত
পর্যায়ে রাখতে মেডিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে
এটার ব্যবহারই এককভাবে সংক্রমণ হ্রাস করতে যথেষ্ঠ
নয়। নিয়মিত
হাত ধোয়া এবং সম্ভাব্য
সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে মেলামেশা না
করা এই ভাইরাস সংক্রমণের
ঝুঁকি কমানোর সর্বোত্তম উপায়।
শিশুরা
কি ঝুঁকিতে?
যে
কোন বয়সের মানুষই এই
ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।
তবে একটি বিষয় লক্ষ্যণীয়
যে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত
শিশুদের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনও
হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। প্রধানত:
আগে থেকে অসুস্থ বয়স্ক
ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস মারাত্মক
হতে পারে।
তবে
শহরাঞ্চলের দরিদ্র শিশুদের ক্ষেত্রে
এই ভাইরাসের পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। এসব
প্রভাবের মধ্যে রয়েছে বিদ্যালয়
বন্ধ থাকা, যা সম্প্রতি
মঙ্গোলিয়ায় দেখা গেছে।
“এই
করোনা ভাইরাসটি ভয়াবহ গতিতে ছড়িয়ে
পড়ছে। এটি
প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজনীয়
সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত
জরুরি। শিশুদের
উপর এই ভাইরাসের প্রভাব
বা এতে কতজন আক্রান্ত
হতে পারে- সে সম্পর্কে
আমরা এখনও বেশি কিছু জানি
না। কিন্তু
নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও প্রতিরোধ এক্ষেত্রে
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। সময়
আমাদের সাথে নেই।”
ইউনিসেফ নির্বাহী পরিচালক - হেনরিয়েটা ফোর
ইউনিসেফ নির্বাহী পরিচালক - হেনরিয়েটা ফোর
সূত্র:ইউনিসেফ
No comments:
Post a Comment