সজাগ জকিগঞ্জ চেয়ারম্যানের দায়িত্বজ্ঞান শূন্যতায় ঠাসা



সিলেটের জাকিগঞ্জে ক্লাসে ঘুমন্ত স্কুল শিক্ষিকার ছবি তুলে ফেসবুকে শেয়ার করেন জকিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ তপাদার। ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে আত্মপক্ষ সমর্থন করে একটি পোস্ট দেন শিক্ষিকা দীপ্তি বিশ্বাস।
অসুস্থ শিক্ষিকার অনুমতি ছাড়া ক্লাস রুমে প্রবেশ ও ছবি তোলায় সমালোচনার মুখে পড়েন ইকবাল আহমেদ।
শুক্রবার উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদের ছবিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন সাংবাদিক প্রভাষ আমিন।
তিনি লিখেছেনন, “এই সেই বীরপুরুষ! জকিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ তপাদার। যিনি লুকিয়ে লুকিয়ে একজন ঘুমন্ত নারীর কাছে গিয়েছেন, তার ছবি তুলিয়ে ফেসবুকে দিয়েছেন।
একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকার ক্লাসরুমে ঘুমানো কতটা অন্যায়, সেটা মাপার জন্য লোক আছে। কী পরিস্থিতিতে তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, তার জবাবদিহিতা নেয়ারও নিশ্চয়ই লোক আছে। কিন্তু একজন উপজেলা চেয়ারম্যান কোন অধিকারে অনুমতি ছাড়া ক্লাসরুমে ঢোকেন? কিভাবে তিনি একজন ঘুমন্ত নারীর ছবি তোলান? কিভাবে তিনি একজন ঘুমন্ত নারীর অত কাছে যান? আমি মনে করি শিক্ষিকা ক্লাসরুমে ঘুমিয়ে অপরাধ করলে তার বিচার হবে, তবে সেটা পরে; আগে এই উপজেলা চেয়ারম্যানের বিচার চাই। একজন সম্মানিত শিক্ষিকাকে অপদস্থ করায় তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে মামলা হতে পারে। বিনা অনুমতিতে তোলা ছবি ফেসবুকে দেয়ায় মামলা হতে পারে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায়। দুটি মামলা একসাথে চলতে পারে।
এবার আসি ঘুম প্রসঙ্গে। সেই শিক্ষিকা তার ফেসবুকে লিখেছেন, তার শরীর খারাপ ছিল। তিনি ছুটি চেয়েও পাননি। মানুষ মানুষই, রোবট নয়। তার শরীর ভালো থাকবে, খারাপ থাকবে। ভালো শরীরও হঠাৎ খারাপ হয়ে যেতে পারে। হুটহাট ঘুমও পেতে পারে। সংসদে মন্ত্রী-এমপিদের ঘুমের দৃশ্য টিভিতে সরাসরি দেখা যায়। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আলোচনা সভার মঞ্চে দলের নেতাদের ঘুমাতে দেখা যায়। আমি প্রায়শই দুপুরে খাওয়ার পর চেয়ারে বসে ১০ মিনিটের ঘুম দেই। মুন্নীর Munni Saha মোবাইলে আমার ঘুমের অনেক ছবি আছে। সে ভদ্রতা করে ফেসবুকে দেয় না। তাই আমি মনে করি না, ক্লাসরুমে অসুস্থ হয়ে টেবিলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়াটা অন্যায় নয়। বরং তার সহকর্মীরা যে তার অসুস্থতাটুকু আগে থেকে টের পায়নি, তাদের জন্য তিরস্কার।
একজন মহিলা শিক্ষক, শিক্ষক হওয়া আগে একজন মহিলা, যার রয়েছে স্বামী, সন্তান,বাবা মা,ভাইবোন এদের সকলের জন্য সময় দিয়ে আবার দেশ গড়ার কাজে আত্ম নিয়োগ করেন।
পক্ষান্তরে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে জকিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যন সম্পূূর্ন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে আসছেন এখন পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সরকার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সরকার । কিন্তু এই চেয়ারম্যান বর্তমান এই ডিজিটাল বাংলাদেশে জনপ্রতিনিধি হিসাবে সম্পূর্ণ  অযোগ্য।  নিচে তার দায়িত্বহীনতার প্রমান স্বরুপ লিংক দেয়া হলো।

চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ
ভাইস চেয়ারম্যান
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মেনু গুলোতে কোন তথ্যই নেই। আর পূর্বতন পরিষদ চেয়ারম্যানগণের মেনুটা দেখলে তো আপনারা দুঃখভরা মনেও হাসতে বাধ্য হবেন।
দেখতে ক্লিক করুন
ক্লিক করুন

0 comments: